Top News

কৃষকের ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের গল্প

 একটি ছোট গ্রামে বাস করতো রামু নামের এক দরিদ্র কৃষক। তার পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস ছিল তার জমি। যদিও তার জমিটা খুব বড় ছিল না, তবুও সে পরিশ্রমের মাধ্যমে জমি থেকে ফসল উৎপাদন করেই জীবন চালাত। তার জীবনের একটি মন্ত্র ছিল - “কঠোর পরিশ্রম এবং একাগ্রতা।”


এক বছর প্রচুর খরা হয়। মাঠের সব জমি শুকিয়ে ফেটে যায়। কৃষকের জমিতেও কোন ফসল ফলে না। হতাশায় ডুবে গিয়েও রামু তার ইচ্ছাশক্তি হারায় না। সে ভাবল, “আমার পরিশ্রম এবং ধৈর্য থাকলে নিশ্চয়ই কোন না কোন উপায় পাবো।”

রামু জমির মাটিকে আরও ভালো করে খুঁড়ে আরও গভীর করে পানি পেতে শুরু করে। অনেক কঠোর পরিশ্রমের পরে সে অবশেষে মাটির নিচে পানি খুঁজে পেল। তার জমিতে আবার ফসল ফলতে শুরু করল। এই ঘটনা দেখে গ্রামের অন্যান্য কৃষকেরাও অনুপ্রাণিত হয়ে খরা মোকাবিলা করতে নিজেদের মাটিতে গভীরভাবে খুঁড়তে শুরু করে।

ফসল পাওয়ার পর, গ্রামের মানুষরা বুঝল যে কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য এবং ইচ্ছাশক্তির জোরে মানুষ যেকোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ করতে পারে। রামুর এই পরিশ্রম এবং ইচ্ছাশক্তি তাদের চোখ খুলে দিল, এবং তারা শেখার সুযোগ পেল যে প্রকৃত শিক্ষা হলো জীবনের কঠিন সময়গুলোতে লড়াই করে সামনে এগিয়ে যাওয়া।



গল্পের শিক্ষাঃ জীবনে কোন পরিস্থিতিই স্থায়ী নয়। কঠোর পরিশ্রম এবং ইচ্ছাশক্তির জোরে যে কেউ জীবনের প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করতে পারে।

Post a Comment

Previous Post Next Post