ছোট্ট মেঘলা আর তার জাদুকরী দিন
মেঘলা ছিল গ্রামের একটি ছোট্ট মেয়ে। সে খুব কৌতূহলী ছিল, সবকিছু জানার জন্য তার মন সবসময় ব্যাকুল। তবে তার একটাই দুঃখ—তার বাবা-মা এত ব্যস্ত থাকতেন যে তার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় পেতেন না।
একদিন, মেঘলা খেলার ছলে গ্রামের পাশের পুরোনো আমগাছটির নীচে গিয়ে বসে। সেখানে সে খেয়াল করল, গাছের ডালে ঝুলছে একটি ছোট্ট টুনটুনি পাখি। মেঘলা মনের আনন্দে বলে উঠল,
"পাখি দিদি, তুমি কি আমার সাথে কথা বলবে?"
অবাক কাণ্ড! পাখিটি সত্যিই মেঘলার সাথে কথা বলতে শুরু করল। পাখিটি বলল,
"হ্যাঁ, মেঘলা! আমি তোমার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি। তবে তার আগে আমাকে সাহায্য করতে হবে।"
মেঘলা বিস্মিত হয়ে জানতে চাইল, "কি সাহায্য করব?"
পাখিটি জানালো, গ্রামের একদল শিশু গাছ কাটার বিপদ বুঝতে পারছে না। তারা খেলার জন্য নতুন জায়গা চাইছে। পাখি চায় মেঘলা তাদেরকে গাছের গুরুত্ব শেখাক।
মেঘলা তখন একটি পরিকল্পনা করল। সে তার বন্ধুদের একত্র করল এবং আমগাছের নিচে একটি নাটক আয়োজন করল। নাটকের মাধ্যমে দেখাল, কিভাবে গাছ ছায়া দেয়, পাখিদের ঘর হয়, এবং আমাদের জীবন রক্ষা করে। শিশুরা মুগ্ধ হয়ে গেল। তারা প্রতিজ্ঞা করল, "আমরা আর কোনো গাছ কাটব না। বরং নতুন গাছ লাগাব।"
পাখিটি খুশি হয়ে বলল,
"তুমি শুধু তাদের শিক্ষা দাওনি, বরং আমাদের প্রকৃতিকে রক্ষা করতে সাহায্য করেছ।"
সেদিন থেকে মেঘলা তার গ্রামে একটি "সবুজ ক্লাব" তৈরি করল। সেখানে সবাই মিলে গাছ লাগায়, প্রকৃতির যত্ন নেয়, এবং নতুন গল্প শোনে। মেঘলার ছোট্ট উদ্যোগে পুরো গ্রাম সবুজ আর সুন্দর হয়ে উঠল।
---
গল্পের শিক্ষা: প্রকৃতি আমাদের বন্ধু। যদি আমরা প্রকৃতিকে রক্ষা করি, তবে প্রকৃতিও আমাদের রক্ষা করবে।
আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না!
কেমন লাগল গল্পটি? প্রয়োজনে সম্পাদনা বা নতুন ধরণের গল্পের জন্য জানাবেন।
Post a Comment