শ্রাবণী ও বন্ধুত্বের খেজুর গাছ
এক ছিলো ছোট মেয়ে শ্রাবণী। সে খুব ভালো মনের ছিলো, তবে এক সমস্যা ছিলো—সে সব সময় জিনিসগুলো নিজের জন্যই রেখে দিতে চাইতো। কোনো কিছু ভাগ করতে বা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করতে সে খুব একটা আগ্রহী ছিলো না।
একদিন শ্রাবণীর স্কুলের বন্ধু সোহান বললো, "শ্রাবণী, তোমার বাগানে অনেক খেজুর গাছ দেখেছি। এ বছর গাছগুলোতে খেজুর উঠেছে দেখছি।"
শ্রাবণী তার গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখলো, সত্যি অনেক খেজুর ধরে আছে। সোহান তাকে খেজুরগুলো ভাগ করার কথা বললে, শ্রাবণী বললো, "না না, এগুলো সব আমার।"
সোহান কষ্ট পেলো, কিন্তু কিছু বললো না।
পরের দিন শ্রাবণী খেজুরগুলো পাড়তে গাছের উপর উঠে। পাড়ার সময় হঠাৎ তার পা পিছলে গেলো এবং গাছ থেকে পড়ে গেলো। সে ব্যথায় কাতরাতে থাকলো। কিন্তু আশেপাশে কেউ ছিলো না। ঠিক তখনি সোহান ছুটে এল। সে শ্রাবণীকে সান্ত্বনা দিলো এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলো।
সেখানে শ্রাবণী বুঝতে পারলো, বন্ধুদের ভালোবাসা এবং সাহায্য আসলেই কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সে চিন্তা করলো, "যদি আমি সবসময় নিজের জন্যই ভাবি, তাহলে কিভাবে অন্যরা আমার পাশে থাকবে?"
তখন থেকে শ্রাবণী শুধু খেজুর না, বরং নিজের সবকিছু বন্ধুর সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয়া শুরু করলো। সে বুঝে গেলো, ভাগাভাগি করার মধ্যে প্রকৃত আনন্দ লুকিয়ে আছে। বন্ধুত্ব আর ভালোবাসার মতো সম্পদ জীবনের বড়ো শিক্ষা।
---
গল্পের শিক্ষা:
ভাগাভাগির মাধ্যমে শুধু অন্যকে নয়, বরং নিজের জীবনকেও আরও সুন্দর ও অর্থবহ করে তোলা যায়।
intresting
ReplyDeletePost a Comment